পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের কাছে ফিরিয়ে না দিলে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবে না—সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভয়াবহ পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ বার্তা দেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কয়েকদিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর মোদির এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাষণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জানা উচিত—এই অভিযান এখনো শেষ হয়নি। আমরা শুধুই সাময়িকভাবে থেমেছি, চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ হয়নি।” তিনি যোগ করেন, “আগামীতে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে আমাদের প্রতিক্রিয়া।”
২২ মিনিটের ভাষণে মোদি বলেন, ভারতের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের সামরিক ধারণার বাইরে ছিল। “আমরা শুধু তাদের সন্ত্রাসী অবকাঠামোই নয়, মনোবলও চূর্ণ করেছি।
রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে বিশেষ বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর একটি সামরিক আক্রমণই নয়, এটি ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানে একটি কৌশলগত মোড়।”
মোদি বলেন, যে কোনো স্থানে যদি সন্ত্রাসের ঘাঁটি গড়ে ওঠে, ভারত সেখানে অভিযান চালাতে দ্বিধা করবে না। আমাদের ভূখণ্ডে হামলা হলে প্রতিউত্তর হবে আরও প্রবল।”
পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি নিয়ে তিনি বলেন, “পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল ভারতকে দমাতে পারবে না। আমরা এ ধরনের হুমকির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসের উৎসগুলোতে নির্ভুল ও চূড়ান্ত আঘাত হানব।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র ও সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করবে না।”
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর টানা চারদিন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শনিবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। সেই যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর, সোমবার (১২ মে) প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির উদ্দেশ্যে তার ভাষণ দেন।