পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তান বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে। যদিও ভারত তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করেছে, তবে যুদ্ধবিরতির পর আবারও রাফাল ধ্বংসের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) লে. জেনারেল রাজিব ঘাই রোববার (১১ মে) দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
এই সংবাদ সম্মেলনে ভারতের স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুরে’র নানা দিক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার পক্ষ থেকে রাফালসহ ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ভারতের এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, “আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে আমাদের আসল প্রশ্ন হওয়া উচিত—আমরা কি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি? আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা এবং সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের বিস্তারিত বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা, প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হয়েছে কিনা, এসব বিষয়ে মন্তব্য করা এখনই ঠিক হবে না। কারণ এতে আমাদের প্রতিপক্ষ কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে।”
এদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা ৩টি রাফালসহ ভারতের মোট ৫টি ফাইটার জেট গুলি করে ভূপাতিত করেছে, তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ বা ছবি তারা উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ভাতিন্ডার একটি কৃষিক্ষেত থেকে রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর ভিডিও তারা যাচাই করে সত্যতা পেয়েছে।