বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প

নতুন করে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কাশ্মীর। দুই পরাশক্তির মধ্যে এই দ্বন্দ্বের মধ্যে, চীনের তৈরি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান, জেটন-সি আলোচনায় এসেছে। পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা এই বিমান দিয়ে ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমানের জবাব দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পরিস্থিতিতে, চীন শুধু দর্শক নয়—তারা শিখছে, নজর রাখছে এবং তাদের তৈরি অস্ত্রের কার্যকারিতা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে।

এমন সময়ে, বাংলাদেশ একটি আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরে দ্বিতীয় দেশ চীনের তৈরি এই জেটন-সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে।

পুরনো এফ-সেভেনের জায়গায় আধুনিক জেটন-সি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইতোমধ্যে ১৬টি জেটন-সি সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এগুলো ব্যবহৃত হবে পুরনো এফ-সেভেন ইন্টারসেপ্টরের জায়গায়। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান জানিয়েছেন, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগকে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে একটি নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এটি কেবল সামরিক দিক থেকে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করবে না, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও নতুন রূপ দেবে।

চীন-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বন্ধন আরও জোরদার চীন ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় এই বিমান ক্রয় একটি নতুন অধ্যায় যোগ করছে।

এদিকে, এই উন্নয়নের মাঝে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে, সরকার এখনও সেই চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেনি। তবে, এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মঞ্চে একটি প্রধান খেলোয়াড়।

Scroll to Top