আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন যে, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ সংবিধান প্রণয়ন করে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উদাহরণ রয়েছে যেখানে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে ৮-৯ বছর সময় লেগেছে। আমাদের ক্ষেত্রে এটি বহু বছরও হতে পারে। এখন আমি ৭২-এর সংবিধান কনটিনিউ করব? নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান যে সংসদ থাকবে সে সংসদ সংবিধান পরিচালক হিসেবে কাজ করবে। ৭২-এর সংবিধানের প্রয়োজনে অ্যামেনমেন্ড করবে।’
তিনি রোববার ঢাকার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘যে গণপরিষদ যখন কাজ করবে সে নতুন সংবিধানের কাজ করতে থাকবে। ওটা করতে আমার ধারণা ২-৩ বছর লাগতে পারে। এই ২-৩ বছর কি আমি ৭২-এর সংবিধান গ্রহণ করব? এই ২-৩ বছরের জন্য তারা যখন জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করবে থাকবে তখন তারা সংসদের কিছু ফান্ডামেন্টাল যেমন-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, আর্টিকেল ১৭, উচ্চ আদালতের ডিসেন্ট্রালাইজেশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। এই ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলো জাতীয় সংসদ পরিবর্তন করতেই থাকবে।’
জুলাই সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, “জুলাই সনদের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, অধিকাংশ মানুষ এর মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত হবেন। সনদের কিছু মৌলিক বিষয় চূড়ান্ত সংবিধানে রাখা হতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বছর করার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন,‘এটা জনপ্রিয় দাবি। আমারও দাবি। প্রধানমন্ত্রী দুই বছর বললে তো হবে না, আপনাকে কনভেন্সিং তর্ক করতে হবে। পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে এটা আছে বের করেন। প্রধানমন্ত্রীর দুই বছরের মেয়াদ কোথাও নাই আসলে। ভারত বলেন, যুক্তরাজ্য বলেন, কোথাও নাই। দুই মেয়াদ সমাধান না। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাটা কমিয়ে নেওয়া।’
উচ্চ কক্ষ এবং প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধান বিচারপতির বিশাল ক্ষমতা রয়েছে—তিনি দেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি।”