ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে একনায়কতন্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, সরকার সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ হয়েছে এবং আলোচনা করে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, উক্ত অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার আমলে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বর্তমান আইনের আওতায় সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গোপন প্রস্থানের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”