সম্প্রতি কিছুদিন আগেই রাজধানী ঢাকার রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জের ধরে মুহুর্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। বিশেষ করে, ক্ষমতাসীন এ সরকারের এ বিষয়টি একটু ভিন্ন ভাবেই দেখছে। আর এরই জের ধরে আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে (বিআরটিএ) শুরু হওয়া সড়ক নিরাপত্তা ও গণ সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ১০-১২ মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এলো, সঙ্গে সঙ্গে কারা ফেসবুকে পোস্ট দিল এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক নিরাপদ করতে আমাদের কর্মতৎপরতা চলমান রয়েছে। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন আইন করা হয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ শৃঙ্খলা ফেরাতে মহাসড়ক বিল পাস করা হয়েছে। সড়ক নিরাপদ করতে একটি কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, রামপুরায় দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার ১০-১২ মিনিট পর হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এলো? এত রাতে দুর্ঘটনার খবর ১০-১২ মিনিটের মধ্যে কীভাবে ছড়াল?
সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা কারোরই কাম্য নয়, এটা দুঃখজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছি।
এদিকে নিরাপদ সড়ক চাই দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সড়কে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। কখনো কখনো পুলিশি ঝামেলায়ও পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। তবে এরপরও এ দাবি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। জানা গেছে, এ বিষয়ে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।