সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন। তিনি সোমবার লন্ডন ছাড়বেন এবং মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।
বিএনপি সূত্র এবং খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান জানান, ডা. ইউনুস সরকারের অনুরোধে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন। শনিবার (৩ মে) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় খালেদা জিয়ার আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে তিনি মঙ্গলবার ঠিক কখন ঢাকায় পৌঁছাবেন, তা এখনো নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে জানানো হয়, খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরবেন। তবে ওই সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির মিডিয়া উইং জানায়, খালেদা জিয়া সোমবার নয়, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেভাবে গিয়েছিলেন, সেভাবেই ফিরবেন— কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। এর আগে, শুক্রবার বিএনপি জানিয়েছিল যে খালেদা জিয়া রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ— জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শারমিলা রহমান— দেশে আসছেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি জানার পর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহর থেকে একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেন। সেই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন। এবারও কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে তিনি দেশে ফিরছেন।