লন্ডনে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৫ মে দেশে ফিরছেন। বিএনপি ঘোষণা করেছিল যে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।তবে শেষ পর্যন্ত কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শনিবার (৩ মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে গনমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সোমবার (৫ মে) কাতারের আমিরের পাঠানো একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন। তবে সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে খালেদা জিয়া কিভাবে দেশে ফিরছেন সে বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের দেশে ফেরার ব্যাপারে কাতারের আমিরের কাছ থেকে যে অ্যাম্বুলেন্সটা উনাকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য পেয়েছিলাম সেটা এখন একটু বিলম্বিত হচ্ছে টেকনিক্যাল রিজিয়নস, সেজন্য ম্যাডাম ঠিক করেছেন যে, ওইটা (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যদি শেষ মুহুর্তে না পাওয়া যায় উনি বাংলাদেশ বিমানেই আসবেন।বাংলাদেশ বিমানে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।৪ তারিখ (৪ এপ্রিল) উনি রওনা হলে ইনশাআল্লাহ ৫ তারিখ সকাল ১১টা দিকে দেশে এসে পৌঁছাবেন।’
৭ জানুয়ারী, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান। লন্ডনে পৌঁছানোর পর, খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। টানা ১৭ দিন তিনি লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। পরে, ২৫ জানুয়ারী, খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাড়িতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়।
অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পর, খালেদা জিয়া তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করলেন।
ইতিমধ্যে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ি ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত করা হয়েছে, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।’