কাশ্মীর হামলার নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’? যেভাবে ফাঁস হল গোপন নথি!

কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর হাত রয়েছে – টেলিগ্রামে ‘ফাঁস’ হওয়া একটি গোপন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। তবে, নথিটি আসল কিনা তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

টেলিগ্রামে ‘ফাঁস’ হওয়া গোপন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পহেলগাম ঘটনাকে ‘অমুসলিমদের লক্ষ্য করে আক্রমণ’ হিসেবে প্রচার করার জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘পাকিস্তান টাইমস’ এই খবর জানিয়েছে। এতে আরো দাবি করা হয়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’কে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই নথিতে।

এদিকে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। পাকিস্তানি সৈন্যরা বৃহস্পতিবার সাঁজোয়া যান এবং অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ভারতকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে ভারতের যেকোনো সামরিক অভিযানের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীর হামলায় জড়িতদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে হামলায় জড়িত সকলকে খুঁজে বের করা হবে এবং কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভারত যাতে সংযত আচরণ করে তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়াও, নিরাপত্তার কারণে কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের সমস্ত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতীয় বিমান হামলার আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Scroll to Top