নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বন্ধুর হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় (২৬) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিরিশিরি এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে অনৈতিক কার্যকলাপে (ধর্ষণ) লিপ্ত থাকা অবস্থায় দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিসোর্টের দায়িত্বে থাকা দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর হবু স্বামী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মো. মুন্না মিয়া ও ভুক্তভোগী সবাই থানা হেফাজতে আছেন।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগীর হবু স্বামী মুন্না মিয়া দূর্গাপুর ঘুরতে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে বিরিশিরি রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে রাত্রযাপন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মুন্না ব্যক্তিগত কাজে শহরে যান। কিছুক্ষণ পর দরজায় শব্দ পেয়ে ভুক্তভোগী তার স্বামী এসেছেন ভেবে দরজা খুলেন। তখন তিনি ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে দেখতে পান। দুর্জয় তার হবু স্বামী মুন্নার বন্ধু হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিচিত ছিল। পরে কথা বলার জন্য তখন দুর্জয় রুমের ভেতরে যান। কথা বলার এক পর্যায়ে দুর্জয় তাকে ঝাপটে ধরেন এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ধর্ষণ ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় গ্রেফতারের পর বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দুর্জয়কে আদালতে হাজির করা হবে। আটককৃত অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল কোনও অন্যায় সহ্য করে না।



