ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে, একটি প্রশ্ন উঠেছে – এই দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে বাংলাদেশ কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?
পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাস শুরু হলেও, স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটি ভারতের ছায়া থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি বলেই মনে করেন অনেকে। ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সহযোগিতা ও নির্ভরতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে। সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে বাংলাদেশ এখন কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবেই নয়, বরং একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী শক্তি হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে যে বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং ভারত ও পাকিস্তান যদি মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করে, তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সাবের মতে, “আমরা চাই না ভারত-পাকিস্তান সংঘাত এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিপদের কারণ হোক। যদি তারা মধ্যস্থতার জন্য আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা তা বিবেচনা করব।”
বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের এই সম্ভাব্য নতুন ভূমিকা নিয়ে দেশটির নেতৃত্বও আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তিত্বরা এখন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, যা বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবেও একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
তবে, ভারত ও পাকিস্তান আসলেই বাংলাদেশের মধ্যস্থতা চাইবে কিনা তা এখনও দেখার বিষয়।