অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে মাতারবাড়ি

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এক বিরাট রূপান্তর ঘটতে চলেছে। সরকার বন্দরটিকে একটি আঞ্চলিক ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২৪,০০০ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ি বন্দর প্রকল্পের জেটি নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করেন যে মহেশখালী এবং কক্সবাজার অঞ্চলের মহাসড়কগুলি উন্নত না হলে বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হবে না। ইতিমধ্যে, ৯,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়িতে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ১৬ মিটার ড্রাফ্ট চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বর্তমানে কয়লা বহনকারী জাহাজ নোঙ্গর করে, তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ১৬ মিটার ড্রাফ্টের বৃহৎ জাহাজ নোঙ্গর করতে সক্ষম হবে।

এই অঞ্চলের চট্টগ্রাম, পায়রা এবং মংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে, যা বন্দরটিকে একটি আঞ্চলিক ট্রানজিট হাবে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য জাপানি কোম্পানি পান্তা ওশান কনস্ট্রাকশন এবং টোয়া কর্পোরেশনের সাথে ২২ এপ্রিল একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৯ সালের মধ্যে বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে, মাতারবাড়ী বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে গ্রিন মেরিটাইম করিডোর জাহাজ বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বন্দর ব্যবহারকারীরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে মাতারবাড়ী বন্দরের সফল পরিচালনা নিশ্চিত করতে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এছাড়াও, ভবিষ্যতে, মাতারবাড়ী বন্দর থেকে বৃহৎ আকারের কন্টেইনার পরিবহন শুরু হলে, এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।

Scroll to Top