ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি স্থগিত করার ফলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হলো। আজ থেকে কার্গো ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনেই ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে প্রথম কার্গো রওনা হবে। তবে প্যাকেজিং হাউস না থাকায় সবজি রপ্তানিকারকরা সমস্যায় পড়েছেন।
সকল সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, ২০২২ সাল থেকে একটি আন্তর্জাতিক মানের কার্গো হাউস অব্যবহৃত ছিল। ভারতের সাথে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায়, কলকাতা এবং দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৬০০ টন বা ১৮ শতাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হত। চুক্তি বাতিল হওয়ায়, সরকার রপ্তানির চাপ সামলাতে সিলেট থেকে রপ্তানি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে তিন বছর পর আলো জ্বললো এই কার্গো হাউজের।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বলেন, “আগ্রহী অনেক স্টেকহোল্ডার বিভিন্নভাবে বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। যারা অপারেটর তারাও লক্ষ্য করেছেন। যারা অপারেটর তারা খবর নিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিনিয়ত তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে যাতে তারা উৎসাহিত হন এবং আমাদের এখান সিলেটের যে এত সুন্দর একটা কার্গো কমপ্লেক্স এটা যেন চালু হয়। সিলেটের অর্থনৈতিক স্বপ্ন পূরণে যেন এটা অবদান রাখতে পারে।”
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় কার্গো হাউসটিতে আর এ থ্রি প্রোটোকল এবং ইডিএস স্ক্যানিং প্রযুক্তি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আর এ থ্রি ক্যাপাসিটি প্রটোকল সম্পন্ন একমাত্র স্টেশন হচ্ছে ঢাকা এক্সপোর্ট। আমাদের এটা কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয়।”
যদিও রপ্তানি সুবিধা চালু করা হয়েছে, সিলেটের রপ্তানিযোগ্য পণ্য, শাকসবজি এবং ফল মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য কোনও প্যাকেজিং হাউস সুবিধা নেই।তাই ভরসাস্থল ঢাকার সেই শ্যামপুরই। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, “অনেক আমাদের সবজি এবং ফল এগুলা আমাদের সিলেট থেকে রপ্তানি হয় এবং এটার সম্ভাবনা আছে লন্ডনে এবং আমেরিকায়, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সিলেটের প্রচুর মানুষ আমাদের কমিউনিটি আছে।”
সিলেট কার্গো হাউসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার বলেন, এই সরকারের মাধ্যমে দ্রুত দ্রুততার সাথে শাকসবজি ফলমূলের জন্য একটা প্যাকেজিং হাউস কৃষি মন্ত্রণালয় যেটা খামার বাড়ি করে দেয়, যদি লং টার্ম দুই তিন বছর লাগে তাই শর্টটার্মের জন্য একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েও আমাদের একটা ওয়ার হাউজ করলে আমরা আগামী সিজন থেকে ধরতে পারবো শাকসবজি, কাঁঠাল, আমসহ যেগুলা রপ্তানি হয়।”
তাদের মতে, রপ্তানিকারকরাও ব্যক্তিগতভাবে প্যাকেজিং হাউস তৈরি করতে ইচ্ছুক। শুধু সরকারি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।