কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পাকিস্তানের ওপর দায় চাপিয়ে দেশটির সঙ্গে করা ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্থগিতসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানও প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে ‘সিমলা চুক্তি’।
পাকিস্তান, ভারত সহ বিশ্ব মিডিয়াতে আলোচনা চলছে যে, ভারতের ‘সিন্ধু জল চুক্তি’ স্থগিত করার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘সিমলা চুক্তি’ স্থগিত করতে পারে। পাকিস্তান ঠিক তাই করেছে।
পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞায় হতাশ ভারত আপোষের উপায় খুঁজছে
এই চুক্তি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তিটির মাধ্যমে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বরফ গলে।
পাকিস্তান এই চুক্তি স্থগিত করার ফলে ভারতের যে ভায়বহ পরিণতি হতে পারে তা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের জিও নিউজের সাংবাদিক আমির মির।
তিনি বলেছেন যে সিমলা চুক্তি থেকে সরে আসার মাধ্যমে পাকিস্তান আর ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকবে না।
ফলস্বরূপ, কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বা মধ্যস্থতার পথ উন্মুক্ত হয়েছে।
এখন আমেরিকা, চীন বা অন্য কোনও দেশ কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে পারবে। যা ভারতের জন্য মোটেও সুখকর হবে না।
হামিদ মির আরও বলেন, চুক্তিটি স্থগিতের ফলে লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুদ্ধবিরতির রেখা (সিএফএল) হিসেবে বিবেচিত হবে, যা কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে সহায়ক হবে।
এর অর্থ হল, যদি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র তুলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তাহলে ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করতে পারবে না।
যুদ্ধবিরতি রেখা অতিক্রম নিষিদ্ধ করার মতো কোনও আন্তর্জাতিক আইন নেই।
এই চুক্তি স্থগিতের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে হামিদ মীর আরও বলেন যে, শিমলা চুক্তি স্থগিত করলে কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে তা ভারত হয়তো কল্পনাও করতে পারবে না।
ভারতের তথাকথিত ‘পানি অবরোধ’ হয়তো পাকিস্তানকে একেবারে শুকিয়ে ফেলবে না, কিন্তু পাকিস্তানের ‘শিমলা অবরোধ’র পর ভারত নিজেই সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।