ফ্যাসিবাদ নিরসনে জামায়াতের ভূমিকা দেশ ও জাতি মনে রাখবে: আলী রিয়াজ

জাতীয় ঐক্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ বলেছেন, “আপনাদের কর্মী ও নেতারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে গেছেন। তবুও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন, সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন—এর জন্য আপনাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।”

তিনি এই কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আয়োজিত এক আলোচনায়। তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের অবদান নিঃসন্দেহে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”

আলী রিয়াজ স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় জামায়াতের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন, কেউ কেউ প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে কারাগারে থেকেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের এই উদ্যোগ কেবল সরকারের একক সিদ্ধান্ত নয়, এটি জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দল, ছাত্র সমাজ, সাধারণ জনগণ—সবাই এই প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়ে এসেছে। আপনাদের আন্তরিক অংশগ্রহণের জন্য আবারও ধন্যবাদ।”

আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজ আমরা আলোচনা শুরু করব। প্রয়োজনে এটি চলবে। আমাদের লক্ষ্য একটি জাতীয় সনদে পৌঁছানো। তবে এই মুহূর্তটিকে ঐতিহাসিক বিবেচনা করে যেন আমরা সুযোগ হারিয়ে না ফেলি। যেন এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে ওঠে, যেখানে কেউ নিপীড়নের শিকার হবে না, যেখানে কোনো বিচারবহির্ভূত ব্যবস্থা থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “এই যাত্রায় আমাদের সকলেই অংশীদার—রাজনৈতিক দল, ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম। আমাদের দায়িত্ববোধ ও যৌথ প্রচেষ্টাই আমাদের সফলতা নির্ধারণ করবে। এই সংস্কার প্রক্রিয়া কারও একার বিষয় নয়, এটি পুরো জাতির বিষয়।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত মূল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, প্রয়োজনে তা চলবে। লক্ষ্য একটাই—একটি আরও ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা।”

Scroll to Top