নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আদালতে বলেছেন, “আমি ছাত্রলীগকর্মী হিসেবে গর্বিত। আমি যখন ছাত্রলীগে ছিলাম, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হত্যাকাণ্ডও ঘটেনি।”
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে সৈকত এসব কথা বলেন। তার বক্তব্যের পর আদালত কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ আইনজীবীরা তাকে সন্ত্রাসী ও খুনি আখ্যা দিয়ে চিৎকার করে চুপ করতে বলেন। কিন্তু সৈকত থেমে না গিয়ে বক্তব্য চালিয়ে যান। এ সময় পাশে থাকা শাজাহান খান তাকে বলেছিলেন, “বলো, বলো।”
পরে সৈকত আরও বলেন, “ছাত্রলীগ কোনো হত্যাকাণ্ডের দল নয়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং আছি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি ছাত্রলীগে থাকার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হত্যাকাণ্ডও ঘটেনি।” এরপর আইনজীবীরা আবারও হৈচৈ শুরু করলে আদালত তাকে থামতে বলেন।
এই সময় শাজাহান খান আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, “মাননীয় আদালত, যদি একজন আসামি কিছু বলতে চায়, তখন আইনজীবীরা যদি তাকে হুমকি দেন, তাহলে আপনি বিচার করবেন। একজন বন্দি কি কথা বলতে পারবে না?”
এই বক্তব্যের জবাবে মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আসামিদের অনেকবার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব আসামিদেরও আছে। এমন কিছু বলা যাবে না, যা আদালতের পরিবেশ নষ্ট করে।”
শুনানি শেষে আদালত তানভীর হাসান সৈকতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ঘটনায়, গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জা এলাকা থেকে সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।