এখন তো স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার নাই, তাহলে নীরব কেন প্রশাসন ও সরকার? প্রশ্ন আশীফ এন্তাজ রবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। অনশনরত অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। লেখক ও বিশ্লেষক আশিফ এনতাজ রবি প্রশাসনের নীরবতা ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন—যদিও পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে।

তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যেই হাসপাতালে। কিন্তু ভিসি এখনো ভালোই আছেন। এটা কোনো ব্যাপার না। আমাদের ভিসিরা তো এমনই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সরকার?”

তিনি ইঙ্গিত দেন যে, বর্তমান সরকার নিজেদের গণতান্ত্রিক, মানবিক ও দায়িত্বশীল দাবি করলেও কুয়েটের মতো একটি স্পষ্ট সংকটে তাদের নীরবতা ভিন্ন বাস্তবতাই তুলে ধরছে। তিনি লেখেন,“এখন তো স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার নাই। তাহলে কুয়েটের বিষয়টা কেন জিইয়ে রাখা হচ্ছে?” আশীফ রবির মতে, সরকার, যাকে ছাত্ররা বসিয়েছে বলে দাবি করেন, সেই সরকারেরই এখন ছাত্রদের কান্না-প্রতিবাদে কোনো সাড়া নেই—এটা বিস্ময়কর।

তিনি আরও লেখেন, “এই ইস্যুতে মিডিয়াও পুরোপুরি নীরব। মিডিয়া তো স্বাধীন। তাহলে এই নীরবতার মানে কী?”

সবশেষে তিনি একটি গভীর ও ব্যতিক্রমধর্মী প্রশ্ন তোলেন—“বাংলাদেশ এমন কেন? এখানে কেউ চেয়ারে বসলেই কেন হাসিনা হয়ে যায়? কেন মনে হয় হাসিনা আসলে কোথাও যাননি। তিনি আমাদের মধ্যেই বাস করেন।”

Scroll to Top