সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল রেজাকে সাময়িকভাবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি রাজনৈতিক পদ গ্রহণের জন্য তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
সোমবার তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিখা নামের এক তরুণী নিজেকে ফয়সাল রেজার স্ত্রী দাবি করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে ফয়সালের বিরুদ্ধে অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎসহ নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ আনেন।
এদিকে, ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফয়সাল রেজাকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার সদস্যসচিব ফয়সাল রেজাকে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে উক্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানকে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিখা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ ফয়সালের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর তারা একসঙ্গে সংসার শুরু করেন।
তিনি বলেন, ফয়সাল বেকার ছিলেন এবং সংসারের সকল খরচ তাকেই চালাতে হয়েছে। আরও জানান, ফয়সাল তার পরিবার ও বিদেশে থাকা ভাইদের কাছে টাকা পাঠাতেন শিখার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ দিয়ে। এমনকি এক পর্যায়ে তাকে মালয়েশিয়ায় থাকা ফয়সালের ভাইদের জন্য ৩ লাখ টাকাও দিতে হয়েছে। শিখা আরও অভিযোগ করেন, টাকা না দিলে ফয়সাল তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
শিখা বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর সে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে, হলে দখল নেয়, নেতা হয়ে যায়। তখন সে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। আমি তার জন্য সব খরচ করেও তাকে ধরে রাখতে পারিনি। এই ঘটনাটি আমার সামাজিক মর্যাদাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
তিনি আরও জানান, তিনি তাদের বিয়ের কাবিননামা এবং লিখিত অভিযোগ ছাত্রদলের পার্টি অফিসে জমা দিয়েছেন।