আদালতে শুনানিকালে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুট ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এজলাসে নেওয়ার পথে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার মাইনুল ইসলাম খান পুলক গত ১৩ এপ্রিল শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ২১ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন।
নির্ধারিত দিনে শাজাহান খানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় এবং শুনানির আগে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তিনি বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।” নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”
পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে যখন তাকে আবার হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল, তখন সাংবাদিকদের উদ্দেশে শাজাহান খান বলেন, “তোমরা কিছু বলো না, শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।” এরপর আবারও বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শাজাহান খান দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সত্য বলেছি, যা ঘটেছে তাই বলেছি।” তিনি দাবি করেন, ওই দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শাহবাগ থানাধীন চানখারপুল এলাকায় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।