হাড়ে হাড়ে শিক্ষা হয়েছে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

দক্ষিণাঞ্চলে জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) এর প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, কিন্তু কেবল নিষিদ্ধ করার দাবি করা যথেষ্ট নয়। কেন যথেষ্ট নয় সেই শিক্ষা আমাদের হাড়ে হাড়ে হয়েছে। কিভাবে? নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার পরে।

শনিবার বিকেলে তার যাচাইকৃত আইডিতে একটি পোস্টে এনসিপি নেতা এই কথাগুলি লিখেছেন। ওই পোস্টের শেষে লেখাটি এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল থেকে সংগৃহীত উল্লেখ করেন হাসনাত।

পাঠকদের জন্য হাসনাতের টাইমলাইনে দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হলেও তাদের নেতাকর্মীরা উন্মুক্ত ঘোরাফেরা করছেন, আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। পুলিশ তো কদাচিৎ দুএকটা ধরে, বাকিদের ছাত্র-জনতা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরিয়ে দিলেও দুই, একদিনেই জামিন হয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে একটা সাইন করা কাগজ ধরিয়ে দিলেই মেনে নেওয়া যাবে না।

কিংবা এই সাইন করা কাগজটা আদায় করাটাই এখন প্রধান দাবি বানিয়ে ফেলা যাবে না। কারণ দিনশেষে এই কাগজটা যে একটা ইউজলেস ত্যানা ছাড়া কিছু না এটা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে প্রমাণ হয়ে গেছে।

বরং জুলাই গণহত্যাকারী ছাত্রলীগসহ, আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিকে প্রধান দাবি করে তুলতে হবে। আপনাদের কি মনে হয়, বিচার ঠিকঠাক হইলে আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠন লিগ্যাল থাকতে পারবে? ইম্পসিবল, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে যেভাবে সংগঠন হিসেবে অপকর্মের দায়ে নাৎসি পার্টি নিষিদ্ধ হয়েছিল ঠিক সেইভাবে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগসহ সব লীগ নিষিদ্ধ হবে প্রমাণিত ও পরীক্ষিত বিচারিক রায়ে।

হ্যাঁ, তবে একটা কাগজ লাগবে। সেটা হচ্ছে, বিচার কমপ্লিট না হওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি। এটা আদায় করতে হবে। তাহলে এভাবে মিছিল দিয়ে বেড়াতে পারবে না।

পূর্ববর্তী ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার চূড়ান্ত আওয়ামী ফ্যাসিজমবিরোধী জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সব রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি ধ্বংস করে বাংলাদেশে বেআওয়ামীকরণ করতে হবে যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ডি-নাজিফিকেশন করা হয়েছিল।’

Scroll to Top