অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল যুবক অনশন ধর্মঘট করেছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একজন প্রাক্তন নেতাও এই দলে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবিতে অনশনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার নাম ফুয়াদ হাসান মুরাদ। জানা গেছে, ফুয়াদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ জুন রাবি ছাত্রলীগের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। আহমেদ আলী সেই কমিটির সভাপতি হন এবং আবু হুসেন বিপু সাধারণ সম্পাদক হন। ফুয়াদ হাসান মুরাদ ছিলেন কমিটির একমাত্র যুগ্ম সম্পাদক।
এদিকে, শুক্রবার ঢাবির টিএসসি এলাকায় অনশন ধর্মঘটে যোগ দেন ফুয়াদ হাসান মুরাদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর করার দাবিতে ডাকা আন্দোলনে আমি বাংলাদেশ ইসলামিক দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে একাত্মতা জানাতে রাজু ভাস্কর্যে এসেছি। ড. ইউনূস বাংলাদেশের রত্ম। সম্প্রতি চীনা সরকারের সাথে বৈঠক শেষ তিনি পাঁচ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপির সাথে দেখা করেছেন। সেখানে ড. ইউনূস বলেছেন যে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পাঁচ বছর কীভাবে থাকবেন সেটি তারাই ঠিক করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি বানালে তিনি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। বাংলাদেশ ইসলামিক দল মনে করে, ড ইউনূস পাঁচ বছর; ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন। বিশ্বব্যাপী তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আর যারা কোনো অন্যায় করেনি, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
এদিকে, ড. ইউনূসের সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতার অনশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। হাসান আদিব নামে একজন লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে অনেক অপকর্মের হোতা সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার ভোল পাল্টানো মোটেও স্বাভাবিক নয়। নিশ্চয়ই এজেন্ডা আছে!’
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে মার্চ ফর ইউনূসের মত কিছু হয়নি, এখন এটা করলে ড. ইউনূস বিতর্কিত হবে, উনি আর আগের মত স্পিডলি কাজ করতে পারবেন না। কিছু মানুষ ৫ বছর ক্ষমতায় চাই এই আন্দোলনেও ষড়যন্ত্রের নীল নকশা। দেশ ও জাতির কাছে কালারিং করবে। কাজেই এগুলি না করাই ভালো।’