ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত

সম্প্রতি, একটি তুমুল বিতর্কিত অভিযোগ উঠে এসেছে যে ভারত সরকার গোপনে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একটি ফেসবুক পোস্টে, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছেন যে ভারত দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

তার মতে, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের লেংপুই বিমানবন্দরকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে রূপান্তর করার কাজ চলছে, যা বাংলাদেশ সীমান্ত (খাগড়াছড়ি) থেকে মাত্র ২৪ মাইল এবং ফেনী সীমান্ত থেকে ৯৬ মাইল দূরে অবস্থিত। এই অবস্থান থেকে, যে কোনও যুদ্ধবিমান অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করতে সক্ষম।

তিনি পশ্চিমবঙ্গের পানাগড় বিমানবন্দরের সামরিক উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে নতুন যুদ্ধবিমান রাখার জন্য একটি বিশাল হ্যাঙ্গার এবং ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। ইলিয়াসের মতে, এই কার্যকলাপের মাধ্যমে, ভারত বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় দিক থেকেই কৌশলগতভাবে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায়।

তার পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের বোরিবাড়িতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে ১৬ জনেরও বেশি বিএসএফ সদস্য নিহত হন। যদিও এই সংঘাত বহু বছর ধরে নীরবে অব্যাহত ছিল, সম্প্রতি কিছু ভারতীয় রাজনীতিকের বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভক্তি ও দখলদারিত্বের হুমকি আবারও আলোচনায় এসেছে।

এই প্রসঙ্গে, ইলিয়াস হোসেন বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বিশেষ করে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, কুমিল্লা, ফেনী এবং শমশেরনগর সীমান্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার সুপারিশ করেন। তার মতে, মিরসরাই অঞ্চল শত্রুর প্রথম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে, কারণ এর কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক।

সাংবাদিক ইলিয়াস সতর্ক করেন—এখনই যদি বাংলাদেশ সঠিক পদক্ষেপ না নেয়, তবে ভবিষ্যতে দেশের একটি বড় অংশ শত্রুর হস্তগত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিঃদ্রঃ- এই প্রতিবেদনটি ইলিয়াস হোসেনের দাবির উপর ভিত্তি করে লেখা। তথ্য যাচাই না করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না করে এসব তথ্য এককভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। সংবেদনশীল ইস্যুতে গুজব ও ভ্রান্ত তথ্য থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।

Scroll to Top