‘এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মীয় উপদেষ্টা ড. এএফএম খালিদ হুসাইন বলেন, “মসজিদ পরিচালনার জন্য আমরা নতুন নীতিমালা তৈরি করেছি। এখন থেকে কেউ ইচ্ছামত কোনও ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না। ইমাম নিয়োগের জন্যও নীতিমালা থাকবে। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য, আমরা প্রতি বছর ঢাকার ৬৪টি জেলার সেরা ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কারের আয়োজন করব।”

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ধুলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার তার ৮ মাসের ক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এবার হজের খরচ প্রায় ১ লক্ষ টাকা কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, আর কেউ সরকারি টাকায় হজে যেতে পারবে না।

কওমি সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি “এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।” আমাদের দেখতে হবে যারা কওমি সনদ এবং সুবিধা নিতে চান তারা এটি নিতে কতটা প্রস্তুত। যদি তারা এটি নিতে চান, আমরা তা দিতে প্রস্তুত। আমাদের মনে রাখতে হবে যে মাদ্রাসা আল্লাহর রহমত। যদি আল্লাহর ভয় থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

আর-রাহমান ফাউন্ডেশন ধুলিয়া ঘাটুয়া, আমিরপুর বানিয়াচংয়ের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধুলিয়া (র.)-এর সাহেবজাদা মাওলানা হাবিবুর রহমান।

অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদি, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আহমেদ কাটখালীসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।

Scroll to Top