বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দল ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো নির্দিষ্ট ঘোষণা না এলেও দলের সর্বসম্মত সমর্থনে তারেক রহমানই জাতিকে নেতৃত্ব দেবেন।
তার কথা থেকে আরও বোঝা যায় যে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ‘উপ-প্রধানমন্ত্রী’ এবং ‘উপ-রাষ্ট্রপতি’ পদের মতো নতুন কাঠামো চালু করার প্রস্তাব রয়েছে।
মাহদী আমিন দাবি করেছেন যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যকে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করেছিল, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। কারণ, তারা জানতো, কোনোভাবেই রাজনৈতিকভাবে তারেক রহমানের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তাকে মোকাবিলা করার শক্তি বা সামর্থ্য তাদের নাই।
তার ভাষায়, ‘তারেক রহমানই একমাত্র রাজনৈতিক নেতা যিনি তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।’
তিনি গণঅভ্যুত্থান, কোটা সংস্কার এবং বেকারত্ব হ্রাস সহ তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন দাবিকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের ভূমিকাও তুলে ধরেন। তারেক রহমানের উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক রহমান এমন একজন নেতা যিনি কাউকে অসম্মান না করে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।’
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি। তবে, আমরা চাই তারা সরকার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিকভাবে কাজ করুক।’
পরিবারতন্ত্র নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাবে মাহদী আমিন বলেন, ‘তারেক রহমান ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একবারও এমপি হননি বা পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করেননি। এটি তার রাষ্ট্রনায়কসুলভ সংযম ও দায়িত্ববোধের প্রমাণ’।
সাক্ষাৎকার শেষে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে যে এখন গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের একমাত্র প্রতীক – তিনি তারেক রহমান। এবং এই বিশ্বাস ভোটের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।’