খোলস পাল্টে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বনে গেলেন শ্রমিকদল নেতা

এক সময় ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। এখন পরিচিত হচ্ছেন শ্রমিকদল নেতা হিসেবে। রাজনৈতিক অবস্থান বদলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মো. আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি, যিনি নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বর্তমানে তিনি নোয়াখালী পৌর শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি। তবে মাত্র কিছু মাস আগেই তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।

জানা গেছে, ঢাকার সাভারে বসবাসকারী আব্দুর রহিম এক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সঙ্গে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নতুন করে আলোচনার জন্ম হয়। এর পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ায় দলটির অভ্যন্তরেও শুরু হয়েছে সমালোচনা।

এওজবালিয়া ইউনিয়নের এক বিএনপি-সমর্থক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “যাদের অতীতে অপরাধের রেকর্ড আছে, তারা দল পাল্টালেও স্বভাব বদলায় না। পরে কোনো অপকর্ম করে সেই দায় বিএনপির ওপর চাপাতে পারে। এমন অনুপ্রবেশকারীদের সময় থাকতে রুখতে না পারলে দল বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।”

একই সুরে কথা বলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. জিয়া। তিনি জানান, “আব্দুর রহিম ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান। সে আসলে আওয়ামী শাসনের একটি পণ্য, এখন খোলস বদলে বিএনপির নাম ব্যবহার করছে। এটা খুবই হতাশাজনক।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, “আগে চাকরির সূত্রে কিছু আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলতে হয়েছে, তাই বলে আমি আওয়ামী লীগ করতাম না। আমি বিএনপির কর্মী, সাভার বিএনপির সঙ্গেই যুক্ত। বরং আমি আওয়ামী লীগের সময়েই মামলায় পড়ে জেল খেটেছি।”

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “আব্দুর রহিম আমাদের আত্মীয়, সে বাড়িতে এসে ছবি তুলেছে। তবে তার রাজনৈতিক অতীত সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আওয়ামী শাসনের পতনের পর বিএনপি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

রাজনৈতিক পরিচয় বদলে যাওয়া এবং অতীত ইতিহাসকে ঘিরে আব্দুর রহিম এখন আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে কতটা গুরুত্ব পায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Scroll to Top