ভারতে ওয়াকফ আইন পাসের পর প্রথম পদক্ষেপ: বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাদ্রাসা

ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইনের পর প্রথম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় একটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যটির বিজেপি শাসিত প্রশাসনের দাবি, সরকারি জমি দখল করে ‘অবৈধভাবে’ নির্মিত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর ধরে পান্নার বিডি কলোনিতে চলছিল এই মাদ্রাসা। দীর্ঘদিন ধরেই এটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। যদিও এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নোটিশ জারি করা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, সর্বপ্রথম এক মুসলিম ব্যক্তি মাদ্রাসাটির অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিজেপির মধ্যপ্রদেশ শাখার সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন। তারপরে মাদ্রাসা কমিটির কাছে পাঠানো হয় নোটিশ।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই নিজ উদ্যোগে বুলডোজার নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলে। ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায় এবং আইন অনুসারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের ব্যাখ্যা।

মাদ্রাসা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানের শুরুতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পরে এটি পুরসভার আওতায় আসে এবং তখন থেকেই নির্মাণটি ‘অবৈধ’ ঘোষিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে মামলাও চলছিল আদালতে। নতুন আইন অনুযায়ী স্থাপনাটি অবৈধ ঘোষণা হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় এটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

বিজেপি নেতা বিষ্ণু দত্ত শর্মা এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের সম্পত্তির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে। সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।”

ঘটনাটি ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এই পদক্ষেপকে ওয়াকফ আইন প্রয়োগের বাস্তব উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Scroll to Top