মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. দেওয়ান সামিরকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার একটি আদালত সামিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে এবং মেঘনাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতেন সামির ও মেঘনা। এই ঘটনায় সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের নাম উঠে এসেছে।
ঘটনার পর মেঘনার বাবা বদরুল আলম গণমাধ্যমের কাছে বলেন, “মেঘনা নিজেই প্রতারণার শিকার। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে ছয় মাস ধরে তার সম্পর্ক ছিল। প্রেমের প্রস্তাব ও আংটি বদলের পর জানা যায় তার স্ত্রী ও সন্তান আছে। তখনই সম্পর্ক থেকে সরে আসে মেঘনা।”
তিনি আরও জানান, মেঘনা তার তৈরি করা ‘মিস বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে দুহাইলানের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেঘনার বাবা বলেন, “রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত হুমকি দিতে থাকেন এবং পুলিশের মাধ্যমে মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।”
বদরুল আলমের দাবি, “আমার মেয়ে কোনো অপরাধ করেনি। সে শুধু চায়নি কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে। সে শুধু চেয়েছিল, রাষ্ট্রদূত দুঃখ প্রকাশ করুক। এখন ন্যায়বিচার চাই এবং সরকারের কাছে মেয়ের নিরাপত্তার দাবি জানাই।”
গত ৯ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেঘনা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তার পরিবার বর্তমানে বেইলী রোডে বসবাস করেন।