চট্টগ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে এই জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও প্রশ্ন। আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। পোস্টে তিনি দাবি করেন, ৫৪৭টি মামলার জামিন শুনানিতে ১৫০ নম্বর পর্যন্ত শুনানি সম্পন্ন হওয়ার পর বিচারক হঠাৎ করে ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্না শারমিনের মামলায় চলে যান এবং মাত্র ১ মিনিটেই আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
তামান্না শারমিন কিছুদিন আগেই তার গ্রেফতার হওয়া স্বামী সাজ্জাদকে মুক্ত করতে “কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন কিনে নেব” বলে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এই ধরনের মন্তব্য দেশের বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেছেন জুলকারনাইন।
তার আরও দাবি, হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের শুনানিতে ৫৪৭টি মামলার মধ্যে মাত্র ৬৩টির শুনানি হয়। এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলাই অপেক্ষমাণ থেকে যায়, অথচ তামান্নার মামলাটি ‘বিশেষ গুরুত্বে’ এক মিনিটেই নিষ্পত্তি হয়।
জুলকারনাইনের পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, একই দিন আদালত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকেও আগাম জামিন দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কোনো জটিল রোগ বা মৃত্যুর মতো জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণত সিরিয়াল ভাঙা হয় না। তাহলে ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্নার মামলা কী ভিত্তিতে সিরিয়াল ভেঙে আগে নেওয়া হলো?”
এই ঘটনায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।