ঝিনাইদহ জেলা শাখার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান এবং মুখপাত্র এলমা খাতুনের মদ্যপানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি মঙ্গলবার রাতে ইয়াসির আরাফাত নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে মুখপাত্র এলমা খাতুনকে একটি ব্যাগ হাতে রুমে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। তারপর ব্যাগটি রেখে খাটের উপর অবস্থান নেন। তার পাশে শুয়ে ছিলেন সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। তারপর, এরপর সাইদুর একটি কম্বল নিজের শরীরের উপর বিছিয়ে দেন আর মুখপাত্র এলমা খাতুন ফোন টিপতে থাকেন। এরপর একটি মদ ভর্তি বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন। আরেকটি হাতে কয়েকটি ওয়ান টাইমের গ্লাস পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেছেন যে তিনি ভিডিওটি সম্পর্কে অবগত নন। তিনি বলেছেন যে ভিডিওটি দেখার পরে তিনি এই প্রতিবেদককে পরে জানাবেন।
ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে সম্প্রতি মুখ খুললেন আরাফিহা নিম্মি। পাঠকদের জন্য তার সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস হুহহু নিচে দেওয়া হলো:
আসসালামু আলাইকুম।
সাম্প্রতি একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে সমস্যা নয় সমস্যা হলো ক্যাপশনে। কারণ ভিডিও কোনো আপত্তিকর ছিল না। রত্না আপু, আমিসহ আমার সহযোদ্ধা, সাজেদুর রহমান, তানাইম,আনিচুর রহমান,আসিফ আরো মনে করতে পারছি না অনেকে ছিল। আন্দোলনের মধ্যেও আমার বাড়িতে অনেকে রাতে আশ্রয় নিয়েছে বিষয়টা আমার স্বামী অবগত যেহেতু সে সাথে ছিল সবসময়। তখন সবাই কাঁধে কাধ রেখে লড়েছি আর এখন ক্ষমতা আর পদ পাওয়ার লোভে ভিডিও সামান্য হলেও ক্যাপশন বিশ্রী করে দিয়েছে।
অপ্রীতিকর হলে অপ্রীতিকর ভিডিও ছাড়তে আমার সহযোদ্ধা শত্রু থেমে থাকতেন না।কারণ তার লোভ অনেকককক।আর সাইদুর ভাই আমার অনেক ছোট প্রভাব তার কতটুকু পরবে জানিনা আমি মেয়ে আমার ওপর বেশি পড়বে। অনেকে কর করছে মেসেজ করছে আমি কথা বলতে পারছি না দুঃখীত তবে যে ভিডিও ছাড়ছে সে আমাকে হুমকিও দিয়েছিল আমি পাত্তা দিইনি কারণ এমন কিছুই ছিল না। আমার কিছু হলে আমার জায়নামাজের মাঝেই এর জন্য দ্বায়ীর হুমকি সহ নাম লিখা পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ।