বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং দুবাইতে এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাজ্যে তিনি ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক, যার মধ্যে একটির মূল্য ১৪ মিলিয়ন ডলার। দুবাইতে তাঁর ২৫০টিরও বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার মূল্য ১৪০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই সম্পত্তিগুলি ছাড়াও, নিউ ইয়র্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য ধনী দেশেও তাঁর সম্পত্তি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশে তার আয়কর রিটার্নে এই সম্পত্তিগুলি কথা উল্লেখ করেননি, যা দেশের সংবিধান অনুসারে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তিনি দাবি করেন যে তার বিদেশী সম্পত্তি কিনতে ব্যবহৃত অর্থ তার বৈধ ব্যবসা থেকে এসেছে, যা তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন। তবে, বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ বিদেশে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে এবং সাইফুজ্জামানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, আল জাজিরার প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে চার্লস ডগলাস সলিসিটরস এলএলপি এবং মার্কেট ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ঋণ এবং সহায়তার মাধ্যমে তিনি তার বিলাসবহুল জীবনের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন, যার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।