স্বামী তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে তারাবিহ নামাজের জন্য যান। নামাজ শেষে ঘরে প্রবেশের পর তিনি তার স্ত্রীর গ*লা কা*টা মৃ*তদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মসজিদের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করা হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছৈয়গাঁও ইউনিয়নের বারিজঙ্গল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তা বেগম (৫৫) বারিজঙ্গল গ্রামের মান্নান গাজীর স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী মান্নান গাজী তার স্ত্রী মুক্তা বেগমকে বাড়িতে রেখে তারাবিহ নামাজের জন্য মসজিদে যান। যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। নামাজের পর মান্নান গাজী বাড়ির প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, তখন তিনি তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়, এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, মসজিদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলের কাছে যাই। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। আমি শুনেছি মান্নান গাজী তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন, এবং যখন তিনি বাড়িতে পৌঁছান, তখন তিনি তার স্ত্রীর গলা কাটা নিথর দেহ দেখতে পান। মান্নান গাজীর এক ছেলে প্রবাসী।
বিষয়টি সম্পর্কে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ হাসান সেলিম বলেন, “ঘটনাস্থলে এক নারীর গ*লা কা*টা লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অন্যান্য পুলিশ ইউনিট আসছে। এলাকায় যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা ডাকাতির ঘটনা কিনা তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। লাশ উদ্ধারসহ প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার সারমর্ম বলা যাবে।”