৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে দিল্লিতে চলে যান। তারপর থেকে তার অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এবার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানা গেছে যে তিনি দিল্লিতে নেই, বরং কলকাতার নিউটাউনে অবস্থান করছেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য ২২ মার্চ মধ্যরাতে তার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টে পিনাকী লিখেছিলেন যে হাসিনা দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন এবং পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে দেখা করছেন। তিনি স্থায়ীভাবে কলকাতায় থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। সল্টলেক এবং নিউটাউনে দুটি জায়গায় তাকে দেখা গেছে, তবে তার অস্থায়ী ঘাঁটি সম্ভবত নিউটাউনে।
পিনাকী’র পোস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। তবে পিনাকী’র পোস্টের আগে জানা গিয়েছিল যে হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কারণ ভারত আর তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চায়নি। তারা তাকে অন্য কোনও দেশে নিরাপদ আশ্রয় দিতে চেয়েছিল। লন্ডনে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার গুজব থাকলেও, ব্রিটিশ সরকার স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছরের ২৪শে অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায় যে, হাসিনা দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাড়িতে বসবাস করছিলেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটি ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি, এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, এবং সেখানে তাকে রাখা হয়েছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীর্ঘ চার মাস ধরে হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নিউটাউনে তার অবস্থান সম্পর্কে গুজব আর উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর আগে নিউটাউনেও অনেক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে দেখা যায়। গত বছরের অক্টোবরে একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামান খান এবং তার দল নিউটাউনের ইকোপার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন এমপি অসীম কুমার উকিল, তার স্ত্রী অপু উকিল, হাজী সেলিমের এক ছেলে।
আরেকটি সূত্র জানায় যে শেখ হাসিনার আত্মীয়, মাদারীপুরের প্রাক্তন সাংসদ নূর আলম চৌধুরী লিটন এবং অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও কলকাতায় আছেন। তাহলে কি হাসিনা এবার নিজের আত্মীয়দের কাছেই পাড়ি জমালেন?
