খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে চাঁদাবাজি

লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খরচের জন্য চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী মো. ফারুক নামে এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে।

এর আগে শনিবার মোহাম্মদপুর থানায় হাজির হয়ে কাফরুলের মো. নাজিম খান অন্তর নামে এক ব্যক্তি আটক ফারুক এবং সোহান ওরফে বড় সোহান, পিন্টুসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মামলার দ্বিতীয় আসামি হলেন দুর্ধর, এবং তৃতীয় আসামি পিন্টু শ্রমিক দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে বলেন যে খালেদা জিয়া অসুস্থ, অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন এবং টাকা লন্ডনে পাঠাতে হবে। এমন প্রতারণা সে নিয়মিত করে। বিভিন্ন চাঁদাবাজির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত তিনি।

এছাড়াও বলা হয়েছে যে আমি উল্লেখিত আসামি এবং ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছি কারণ আমার স্টকলর্ড গার্মেন্টস, অনলাইন পণ্য এবং বিউটি পার্লারের ব্যবসা রয়েছে। উপরোক্ত আসামিদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আমার মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলা সিটি হাউজিং-এর বিউটি পার্লারে এসে আমার নিকট ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করিত।

আমি আসামিকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, আসামিরা আমাকে হুমকি দেয় এবং হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে, ২১/০৩/২০২৫ তারিখে আনুমানিক বিকাল ৩ টার দিকে, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোহাম্মদপুর থানাধীন ভাসিলা সিটি হাউজিং-এর ফিরোজা বাসর স্কুলের সামনে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আমার পথরোধ পূর্বক পুনরায় আমার নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।

আমি ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে, আসামিরা আমাকে নির্বিচারে মারধর করে। এরপর আমার ভাগ্নে তানজিল হোসেন (২৪) আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে এবং আসামি নং ২ সোহান আমার ভাগ্নেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাতটি আমার ভাগিনার ডান চোখের পাতায় আঘাত করে, রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর সে আমার বন্ধু কামালকেও তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আহত করে। আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা আমাকে হুমকি ও হত্যার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে, সেনাবাহিনীর একটি দল মোহাম্মদপুর থানার বাশিলা সিটি হাউজিং এলাকা থেকে অভিযুক্ত নং ১ মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করে, অন্য অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

পরে, আমি আমার ভাগ্নিকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ভাগিনার চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১নং আসামি মো. ফারুকসহ থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করি।