প্রধান উপদেষ্টা হন বা যে উপদেষ্টা হোন, কাউকে গোনার টাইম নাই: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রধান উপদেষ্টা হোন বা যেকোনো উপদেষ্টা, কারোরই গণনা করার সময় নেই। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। আমার ভাই তার জীবন দিয়েছে, রক্ত ​​দিয়েছে, এবং এখন এই অসাধু বেসামরিক উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য আসছেন – এটি মেনে নেওয়া যায় না।”

রাশেদ খান আরও বলেন, “আমরা ২০১৮ সাল থেকে সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের দলের সহযোগী সংগঠনের ১১ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য সহযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়ে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ঘুষ এবং চাঁদাবাজির গল্প কখনও শোনা যায়নি। আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি, অন্যের অধিকার হত্যা করে কোটিপতি হওয়ার রাজনীতি করি না।”

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী কিছু নেতা বর্তমানে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ওয়াসা কেলেঙ্কারি, বিশ্ববিদ্যালয়-উপাচার্য-পন্থী কেলেঙ্কারি, টেন্ডার জালিয়াতি, চাঁদাবাজি—আমরা এগুলো শুনতে প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা তাদের দেবতার মতো শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু তারা সেই সম্মান বজায় রাখতে পারেনি। দুঃখ হয়, আফসোস লাগে। আমি তাদেরকে বলব, এখনো সময় আছে, এসব বন্ধ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করুন।”

রাশেদ খান আরও বলেন, “এটি একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের আমাদের শেষ সুযোগ। যদি আমরা এই সুযোগটি হাতছাড়া করি, তাহলে আমরা কখনই বাংলাদেশ এবং এর জনগণের জন্য কিছু করতে পারব না। গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদের এক নম্বর দাবি হলো গণহত্যার বিচার। দ্বিতীয় দাবি—প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার। এবং তৃতীয় দাবি—শহীদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের পুনর্বাসন।”

তিনি এই প্রসঙ্গে সরকারের পদত্যাগের বিষয়টিও তুলে ধরেন, “তিনি পদত্যাগ করেছেন, এটি একটি ভালো দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশে সাধারণত পদত্যাগের নজির নেই, তবে তিনি সেই নজির সৃষ্টি করেছেন।”

রাশেদ খান আরও বলেন, বর্তমানে অনেক উপদেষ্টা কাজ করছেন, কিন্তু আমরা জানি না তারা কি আসলে কাজ করছেন। এত দিন ধরে কাজ করার পরও তারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারেনি। চোররা ভারতে, আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডায় পালিয়ে গেছে, অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ডেভিল মান্নান এবং সাবেরসহ অন্যান্যরা জামিন পেয়েছেন—এটা কোথায় যাচ্ছে?