গর্ত থেকে তুলে এনে আ.লীগ পুনর্বাসন নয় : রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। আমরা কেবল হাজার হাজার নতুন প্রাণ হারিয়েছি তা নয়, আমাদের মর্যাদা ও সম্মানও হারিয়েছি। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ বিশ্বে একটি বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন আমরা নিজেদেরকে একটি সাহসী, বিজয়ী এবং মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছি। বর্বর গোষ্ঠীর কোনও ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার আমাদের পথে বিন্দুমাত্রও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।”

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আমাদের অনেকেরই সঙ্গত নানা কারণে দুঃখ-কষ্ট ও বেদনা রয়েছে- আমার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের কষ্ট কখনই আবু সাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম কিংবা ফাইয়াজের মায়ের তুলনায় বেশি নয়। এখন সময় এসেছে আমাদের সংযম ও সহিষ্ণু আচরণ প্রদর্শনের।’

রাষ্ট্রদূত মুশফিক বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত খুনের নির্দেশদাতা ও লুটেরা হাসিনা এবং তার সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। তবে তার পচাগলা রাজনীতির সাথে একসময় যুক্ত অনেক প্রান্তিক মানুষের কৃতকর্মের দায় শিকার করে সংশোধনের পথও উন্মুক্ত রাখতে হবে। তার মানে এই নয়, গর্ত থেকে বের করে এনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন!’

তিনি বলেন, ‘অসহিষ্ণু ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা থেকে আমাদেরকে অবশ‍্যই বিরত থাকতে হবে, যা স্বার্থান্বেষী মহলের নজরকাড়া চিত্র তুলে ধরতে পারে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পচাগলা অবস্থা থেকে দেশটাকে বাঁচাতে দেন-দরবার করার মতো একটি সরকার আপনারাই গঠন করেছিলেন। আমাদের প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের যে টুকু অবশিষ্ট আছে, তা সমুন্নত রেখে নিজেদের গড়া সরকারের সাথেই হোকনা বোঝাপড়া।’

রাষ্ট্রদূত মুশফিক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘এটি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে পাওয়া বা না পাওয়ার বিষয় নয়। “আমার অবস্থান বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৈষম্যহীন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার পক্ষে।”

Scroll to Top