২০২৪ সালের বিদ্রোহে সেনাবাহিনী যদি জনগণের পাশে না দাঁড়াত, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হত, বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নূর)।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে গণঅভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীকে কেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে?
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে নুরুল হক এই মন্তব্য করেন। নুরুল হক বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। এতে দেশে নৈরাজ্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তিনি এই বিষয়টি নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিপি নুরুল হক বলেন, ছাত্র সমন্বয়করা তদবির করে আওয়ামী লীগের দোসরদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, আর দোষ চাপাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর। এ সময় সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যারা দল গঠন করেছে, তারাও শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট দল হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এই দিনে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।
সমাবেশের পর গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রদক্ষিণ করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। এ সময়, গণঅধিকার পরিষদ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করে।
উচ্চ পরিষদের সদস্য এবং গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উচ্চ পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।