নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা আছিয়ার ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এনেছেন তার মা। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বাড়ির সবাই বাইরে থাকলেও, একজন বয়স্ক নারী ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং সবকিছু প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে এই বিষয়টি এতদিন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আছিয়ার মা বলেন, “আমার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। বিশেষ করে, আমার বড় মেয়ের বিয়ের পর থেকেই আছিয়ার ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হতো। আমি শুধু চাই, আমার মেয়ের হত্যাকারীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়।”
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই আছিয়া বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হচ্ছিল। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর আগে টানা দুই দিন কোমায় থাকার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
আছিয়ার মামা বলেন, “আমরা চাই, এমন জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। যদি অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা আরও বাড়বে।”
এদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছিয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবার ও স্বজনদের একমাত্র দাবি—ন্যায়বিচার যেন নিশ্চিত হয়।