১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে সাবেক এমপির বাড়ি দখল! নারী সমন্বয়ক কট

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল এবং ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নারী সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ।

গ্রেপ্তার হওয়া মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের দোহার জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর-টাকুরপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক পরিচয়ে মিষ্টি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছোটকালীবাড়ির ছয়তলা ভবনের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িটি দখলে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে শনিবার রাতেই বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনার পর মিষ্টিকে টাঙ্গাইল সদর থানায় আটক করা হলেও রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। তবে রোববার সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ আবারও মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করে।

রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন, “মিষ্টি প্রথমে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় সে জোরপূর্বক আমাদের বাড়ি দখল করে নেয়। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”

এদিকে, টাঙ্গাইলের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর কয়েকজন নেতাকর্মী জানিয়েছেন, মিষ্টির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, “রোববার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে আমরা মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছি।”

Scroll to Top