বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন যে, পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা ইফতার আয়োজনের পেছনে ব্যয় করছে ইসলামী ছাত্রশিবির, যা পুরো মাসে ৯০ লাখ টাকায় পৌঁছাবে। তিনি ছাত্রশিবিরের এই অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন।
এবার ছাত্রদলের সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রশিবির কীভাবে তহবিল সংগ্রহ করে এবং কোন খাতে অর্থ ব্যয় করে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলেন, “আমাদের ইফতার আয়োজন মূলত শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় সম্পন্ন হয়। সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীরা বর্তমান দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে থাকেন। এছাড়া, ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক সদস্য বায়তুলমাল প্রদানে অংশ নেয়, যা আমাদের অন্যতম আয় উৎস। আমাদের প্রকাশনা বিভাগের মুনাফা এবং শরিয়তসম্মত অন্যান্য খাত থেকে সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এসব আয়ের মাধ্যম থেকেই সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যার মধ্যে ইফতার আয়োজনও অন্তর্ভুক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশনের টাকা থেকে সঞ্চয় করে ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে অনুদান দেয়। এমনকি পরিবার থেকে পাঠানো অর্থও অনেকে সংগঠনের জন্য ব্যয় করে থাকে।”
ছাত্রদলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলেন, “আমাদের অর্থায়নের নির্দিষ্ট উৎস রয়েছে, যা আমরা আগেও জানিয়েছি এবং এখনও জানাচ্ছি। কিন্তু ছাত্রদলও তো বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে, যেখানে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। তারা কি জানাতে পারে, তাদের সেই অর্থ আসে কোথা থেকে?”
এর আগে শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির মন্তব্য করেন, “ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি গণমাধ্যমে বলেছেন, তারা প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছে ইফতার আয়োজনে। এই হিসাবে পুরো রমজান মাসে তাদের মোট ব্যয় হবে ৯০ লাখ টাকা। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাদের কাছে জানতে চাই, সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হিসেবে তারা কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করছে এবং তাদের অর্থায়নের প্রকৃত উৎস কী?”