জামায়াত ইসলামীকে কেনা যাবে না অরাজকতা সৃষ্টির জন্য কিছু দলকে কিনে নিচ্ছে আ’লীগ

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আমিন, যিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের পাশাপাশি অনলাইনে স্পষ্টবাদী একজন এক্টিভিস্ট হিসেবে পরিচিত, একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি বলেন, “চুরির টাকা দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ করছে আওয়ামী লীগ। এত বছর ধরে যে অর্থ তারা লুটপাট করেছে, তার একটি অংশ ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক দলকে কিনে নিচ্ছে। বিশেষ করে, পালিয়ে যাওয়া কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের, যাদের পেশাই রাজনীতি, তাদের কিনে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।”

তবে, তিনি দাবি করেন, “যে কোনো দলকে টাকা দিয়ে কেনা গেলেও জামায়াত ইসলামীর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। জামায়াতকে গুপ্ত সংগঠন বলে যারা প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, জামায়াত ইসলামী একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক সংগঠন।”


ভারতে আটক বাংলাদেশিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা উদ্ধার

ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশিদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত দুই-আড়াই বছরে এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের নাম-ঠিকানা সংবলিত একটি তালিকা পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, প্রাপ্ত তালিকায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের কেউ আছে কিনা, তা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির পক্ষ থেকেও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া, ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই থেকে গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে ভারতে পুশইন করার বিষয়েও কমিশন অবগত এবং এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

গুম কমিশনের সভাপতির মতে, এখন পর্যন্ত কমিশনে ১ হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজারটির যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৪৫ জন কর্মকর্তার বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।