আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদের ধ’র্ষ’ণে অ’ন্তঃস’ত্ত্বা দাবি করা সেই মাহির ৪২ মিনিটের রেকর্ড ফাঁস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিনা মাহিকে নিয়ে নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সায়মা মাসুদ মোমো তার ফেসবুক প্রোফাইলে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি স্ট্যাটাস দেন।

পোস্টটিতে তিনি মাহির অভিযোগ ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তার জানা তথ্য তুলে ধরেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মাহি দাবি করেন যে আন্দোলনের সময় তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং এরপর তার পরিবার তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তবে পুরো ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখা যায়, মাহির বর্ণনার মধ্যে অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে।

ঘটনার শুরু:

আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে গিয়ে মাহির সঙ্গে মোমোর পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়, এমনকি মাহি তাকে ‘আপু’ না বলে সরাসরি ‘তুমি’ বলেও সম্বোধন করতেন। একদিন হঠাৎ মাহি এসে জানান যে আন্দোলনের সময় তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং এই কারণে তাকে পরিবার বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। তখন মোমো তাকে সান্ত্বনা দেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন, তবে মাহি বিষয়টি নিয়ে আর আগাতে চাননি।

পরবর্তীতে, ১৩ নভেম্বর ভোরবেলা মাহি ফোন করে জানান যে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ কথা শুনে মোমো তাকে দেখা করতে বলেন। সকাল ৮টার দিকে তারা ধানমন্ডি লেকে গিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। মাহি জানান, ৪ আগস্ট সকালে নারায়ণগঞ্জের এক এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিতে গেলে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান এবং নির্যাতন করেন।

ঘটনার দ্বিতীয় অংশ:

এছাড়া, মাহি দাবি করেন যে ১০ আগস্ট তিনি দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার হন। তার ভাষ্যমতে, সেদিন তিনি ঢাকার বাইরে এক আত্মীয়ের বিয়ে থেকে ফেরার পথে এক বাইকচালক তাকে নির্যাতন করে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া যায়।

মাহির অভিযোগ সম্পর্কে মোমো তাকে আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন, এমনকি নারায়ণগঞ্জের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেও বলেন। কিন্তু মাহি সেটি করতে অস্বীকৃতি জানান।

পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হলে তিনি সেটিও করতে চাননি। সারজিস নামের একজনও মাহিকে সহায়তা করতে চাইলেও মাহি এড়িয়ে যান। মোমো দাবি করেন, মাহির বক্তব্যের বিভিন্ন জায়গায় স্ববিরোধিতা রয়েছে, যা পুরো বিষয়টিকে সন্দেহজনক করে তুলেছে।

বর্তমানে এই ঘটনার ৪২ মিনিটের একটি রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে মাহির বক্তব্যের অসংগতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পুরো বিষয়টি এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Scroll to Top