জেনারেল ওয়াকার না থাকলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতো: কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হাই

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের অনুপস্থিতিতে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হাই।

সম্প্রতি যুগান্তর মাল্টিমিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এ মন্তব্য করেন।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ভাষা আন্দোলন

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ছিলেন যেন নবী মূসা (আ.) এর মতো—ফেরাউনের দরবারে বেড়ে উঠেও তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তার অসাধারণ দেশপ্রেম, সততা, মানবিকতা, এবং আল্লাহভীতি তাকে অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

আবদুল হাই আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার বিশ্বাস ছিল যে জেনারেল ওয়াকার উজ জামান কখনোই স্বৈরশাসনের পক্ষে দাঁড়াবেন না। তার মতে, যদি জেনারেল ওয়াকার না থাকতেন, তবে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতো এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কেউ থাকত না। দেশ দখলের শিকার হতে পারত, এবং বড় ধরনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবর্তন ঘটতে পারত।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে কৃতজ্ঞ থাকলে জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবে।

তার মতে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে ভারত এবং বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল, যা হাসিনার সহযোগীদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ শুরুতে দেশকে অরাজকতার হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে কাজ করলেও পরবর্তীতে ক্ষমতার লোভে নীতিচ্যুত হন।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তারা সবাই বর্তমানে দেশের বাইরে। তবে তিনি আশাবাদী যে একটি শক্তিশালী স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে এবং এই ঘটনার ন্যায়বিচার হবে।

Scroll to Top