ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে তিস্তার সমস্যা সমাধান করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত। জবাবে জয়শঙ্কর আশ্বস্ত করেন যে, দুই দেশের সম্পর্ক ভালো রয়েছে এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান তিস্তা সংকটের দ্রুত সমাধান চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে।
তিস্তা সংকট সমাধান কঠিন কিছু নয়, তবে এর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জনগণের আস্থাও বাড়বে যে, ভারত সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের বন্ধু। তবে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতীক্ষিত এই চুক্তি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে মতপার্থক্য দূর করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
এদিকে, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সম্প্রতি গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা নদীতে নেমে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছেন।