দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাতীয় নির্বাচন আগে হবে নাকি স্থানীয় নির্বাচন, এই বিতর্কে বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিতে চায়, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় নির্বাচন আগে সম্পন্ন করার পক্ষে। এ নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দিল্লির ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
কিন্তু স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে কার লাভ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার চাইবে প্রথমে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মতে, আওয়ামী লীগ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের সংগঠন পুনর্গঠনের চেষ্টা করতে পারে, যা তাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সহায়ক হবে। পক্ষান্তরে, জাতীয় নির্বাচন আগে হলে বিরোধী দলগুলো সরাসরি নির্বাচনী লড়াইয়ে যেতে পারবে, যেখানে আওয়ামী লীগের এমন সুবিধা থাকবে না।
এছাড়া, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। অনেকের মতে, এটি একটি পরিকল্পিত কৌশল, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো জামায়াতের অবস্থানের বিরোধিতা করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা জাতীয় নির্বাচন আগে করার দাবি জানিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মনে করেন, নির্বাচনের দেরি হলে ষড়যন্ত্রের সুযোগ বাড়বে।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে বলছেন, জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পেছনে রাজনৈতিক কৌশল কাজ করছে এবং জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। এখন দেখার বিষয়, রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ শেষে কোন কৌশল বাস্তবায়িত হয়।