সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এটি না করা হয়, সাধারণ মানুষ কখনো ক্ষমা করবে না।
দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সম্মেলনের ফাঁকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ন্যাশনাল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা ভারতে নোটিশ পাঠিয়েছি, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে, মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের প্রতিবেদনসহ আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ আছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি এটি চলবে এবং তাকে আমরা বিচারের আওতায় আনব। এটি হতে হবে। নয়ত মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।”
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমিরাতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। যখন আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলাম, তখন আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করি। আমি তাকে ব্যাখ্যা করি যে, তারা শুধু বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ করেছি যে, তিনি যেন তাদের ক্ষমা করে মুক্তি দেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা করায় আমি অত্যন্ত খুশি হই। এটি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ ছিল এবং পুরো বাংলাদেশ সেটি উদযাপন করেছে।”
ড. ইউনূসের এই বক্তব্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।