ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে এক টকশোতে মতামত দিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তবে স্থানীয় নির্বাচন আগে এবং জাতীয় নির্বাচন পরে আয়োজনের প্রস্তাবও আলোচনায় রয়েছে।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, “অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যে সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন, সেটি এখনও তৈরি হয়নি। এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে যদি ১০০০টি শর্ত পূরণ করতে হয়, তবে এখন পর্যন্ত একটিও পূরণ হয়নি। এমনকি আগামী কয়েক মাসেও সেটি সম্ভব হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “যেমন মানুষের মেরুদণ্ডে সমস্যা হলে সেই ব্যথা সহজে কমে না, তেমনি আমাদের আইনশৃঙ্খলার ভিত্তি দুর্বল। এটি এমন একটি বিষয়, যা ভোটকেন্দ্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকরা যেন রাষ্ট্রীয় নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”
রনির মতে, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের প্রতিটি এলাকা বিএনপির নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। অন্যদিকে, জামায়াতের সমর্থকরা কোনো নির্বাচনী এলাকায় দাঁড়াতেও পারবে না। এটিই বাস্তবতা, আর এই কারণেই তারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বিএনপি যখন নির্বাচনী এলাকাগুলো দখলে নেবে, তখন একেকটি এলাকায় তাদের পাঁচ থেকে ছয়জন করে প্রার্থী হয়ে যাবে। ফলে যিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন, তিনিই সবচেয়ে বিপদে পড়বেন।”
এছাড়াও, তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে মনোনীত প্রার্থীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে।”
এমন বাস্তবতায় রনি বলেন, “নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে আগে শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করা জরুরি।”