বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ে বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশের তালিকায় উপনীত হয়েছে। তবে ইএ তালিকায় লিপিবদ্ধ হতে বাংলাদেশকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এই সফলতা প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি খুশির খবর। কিন্তু এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্যে এখন থেকে সর্বাত্মকভাবে কাজ শুরু করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিতে বুধবার (১ ডিসেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আচার্য ও রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুক্ত ছিলেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কয়েক বছর পরই পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের ঢেউ বইতে শুরু করবে। তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পথিকৃতের ভূমিকা নিতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় বিশ্বব্যাপী সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। আমি আশা করব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ যাত্রাপথে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।’
মাতৃভাষা রক্ষা থেকে স্বাধীকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবগাঁথা উল্লেখ করে আচার্য বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, গবেষণা-উদ্ভাবন, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, প্রগতিশীল ভাবনা, জাতি-গঠন ও দেশাত্মবোধের চেতনার এক তেজোদীপ্ত আলোকবর্তিকা; বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য বাতিঘর। প্রতিষ্ঠাকালে ১২টি বিভাগ ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পথচলা শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৮৪টি বিভাগ ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। দুইজন নারী শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি। দেশে নারীর ক্ষমতায়নের এটি একটি বিশাল সাফল্য। আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বেকার ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা-উত্তর সময়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল অগণতান্ত্রিক, অপসংস্কৃতি ও সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। এরই স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুজিব জন্মশতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ স্থাপনও একটি অনন্য উদ্যোগ।
বাংলাদেশের এই সফলতার নেতৃত্নে রুয়েছে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ দল। এই দলটি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি এই দলটি টানা ৩ মেয়াদে দেশের সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্যে দীর্ঘ মেয়াদে সক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও তারা ক্ষমতায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দলটির অনেক নেতাকর্মী।