যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। দেশটি বাংলাদেশে অবস্থানরত ও ভ্রমণরত ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের মতে, বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক ও যুক্তরাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা নিরাপত্তার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অস্থির পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্য এই সতর্কতা জারি করেছে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত ব্যাপক সহিংসতায় বহু তরুণ প্রাণ হারিয়েছে, যার প্রভাব এখনো বিরাজমান। ব্রিটিশ সরকারের মতে, রাজনৈতিক উত্তেজনা, ধর্মঘট ও বিক্ষোভের সময় সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে, যা নাগরিকদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বিশেষ করে গণপরিবহন ব্যবস্থা, জনসমাগমপূর্ণ স্থান, ধর্মীয় উপাসনালয়, রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিদেশিদের উপস্থিতি রয়েছে এমন এলাকায় হামলার ঝুঁকি বেশি বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কবার্তায় মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারীদের বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের মতে, গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নজরদারির ফলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতা দেখা দিতে পারে, যা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে, যাতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সতর্কতা শুধু ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতিও ইঙ্গিত করছে। এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী ধরনের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।