গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকেই আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী পলাতক অবস্থায় আছেন, অনেকে আবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
সম্প্রতি লংমার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ কর্মসূচিকে ঘিরে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ৫ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্রজনতার জমায়েত শুরু হয়। এরপর সারা দেশে রাতভর আন্দোলনকারীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চিহ্ন মুছে ফেলার পরিকল্পনা নিতে শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “হাসিনার উদ্দেশ্যে সাদ্দামের নসিহত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসাইন মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।
২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা সাদ্দাম বলেন,কর্মীদের সাথে থেকে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।যেখানে তিনি বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন গণতান্ত্রিক দেশ আছে যেখানে নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন আর কর্মীদেরকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর আন্দোলন সফল হয়েছে।আজকে ভিডিও কনফারেন্স দিয়ে বড় বড় কথা বলছেন।সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আইন আদালতের মুখোমুখি হন।
এই বক্তব্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।