দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশি তরুণকে মারধর করে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা এক ভারতীয় কৃষককে ধরে এনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হাতে তুলে দেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের দ্বীপনগর এলাকায় ৩২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিকেলে উভয় দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত দেওয়া হয়।
বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি তরুণের নাম মো. আলামিন, যিনি ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষক রিয়াজউদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে বিজিবির হাতে থাকা ভারতীয় কৃষক হলেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসুমন্ডি থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায় (৪৫)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান জানান, সকাল বেলায় আলামিন তার জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন, যা ৩২৩ নম্বর পিলার থেকে ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এ সময় ছয়জন বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে ভারতীয় সীমান্তে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর দ্বীপনগর গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদস্বরূপ ভারতীয় এক কৃষককে ধরে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন।
বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহসানুল ইসলাম বলেন, “পাঁচজন বাংলাদেশি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ মনে করেছিল, সীমান্তের আশপাশে কেউ তাদের সহযোগিতা করেছেন। আলামিন কাছাকাছি থাকায় তারা ভুলবশত তাকে সহযোগী মনে করে ধরে নিয়ে যায়। এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়েছে এবং বিকেল সোয়া চারটায় আলামিনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পতাকা বৈঠকের পর ভারতীয় কৃষক নারায়ণ চন্দ্র রায়কেও বিএসএফের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

